সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা।।
বরগুনার তালতলীতে দুই সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকবৃন্দ। এল জি ই ডি’র উপজেলা প্রকৌশলী আহাম্মদ আলী ও তার পিয়ন শাকিল আহমেদ কর্তৃক তালতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি ও দৈনিক নয়াদিগন্ত সাংবাদিক ইউসুফ আলী ও দৈনিক অধিকার এর সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন উপর হামলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করা হয়।
শুক্রবার (১২ মার্চ) সকাল ১১ টায় উপজেলার উজ্জল চত্বরের সামনে তালতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচীর দেয়ার হুশিয়ারীও দেন তারা।
এসময় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক আরিফুর রহমান ফসল বলেন, বর্তমানে দেশের অনেক জায়গায় সাংবাদিকরা দুর্নীতি এবং অনিয়মের খবর সংগ্রহকালে হামলার শিকার হচ্ছে। এল জি ই ডি’র সকল কাজে অনিয়ম ও দুর্ণীতি হচ্ছে কিন্তু সাংবাদিকরা এ দপ্তরে তথ্য চাইতে গেলে আহৃম্মদ আলী ও তার সহকারীরা সাংবাদিক লাঞ্ছিত করে। সাংবাদিকরা এখন কাজ করতে গেলে নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে।
বক্তারা এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
উল্লেখ্য, তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাড়াখালী গ্রামে একটি কালভার্ট ও সড়ক নির্মানে অনিয়মের অভিযোগে তালতলী এলজিইডির অফিসে গত ৯ মার্চ তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিকরা। ওই সময় প্রকৌশলী আহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের সাথে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান এবং তার সহকারীকে কালভার্টের নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের চায়ের দাওয়াত দিয়ে বলেন, ’এই মুহূর্তে অফিসে আমার সহকারী নেই, আপনারা বৃহস্পতিবার আসেন’।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা প্রকৌশলী আহাম্মদ আলীর অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ দেখতে পান। এ সময় অফিসের পিয়ন শাকিল সাংবাদিকদের দেখেই তাদের সাথে অহেতুক বাক-বিতন্ডা করে। এক পর্যায়ে অফিসের এক কর্মচারী শাকিলকে শান্ত করে সাংবাদিকদের চা খাওয়ার কথা বলে পাশের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। কক্ষে ঢুকেই সাংবাদিক শাহাদাৎকে জামার কলার ধরে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন শাকিল।
পরে সাংবাদিক শাহাদাৎ’র ডাক-চিৎকারে সাংবাদিক ইউছুফ এগিয়ে অসলে তাকেও কিল ঘুষি দিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও কক্ষের মধ্যে তালা দিয়ে তাদেরকে আটকে রাখার চেষ্টা করে।
হৈচৈ শুনতে পেয়ে স্থানীয় কিছু সংখ্যক সাংবাদিক ও অনেক লোকজন জড় হলে শাকিল তখন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। পরে ওই দুই সাংবাদিক এলজিইডির অফিস থেকে বেড়িয়ে এসে তালতলী থানা অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি অবহিত করে এবং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।